প্রকাশ :
গত ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাগ্রিকালচার প্রডাকশন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এবার সাড়ে তিন লাখ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ কমতে পারে। গত অর্থ বছরে তিন মৌসুম মিলে এক কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে, যা চলতি অর্থ বছরে এক কোটি ১৪ লাখ হেক্টরে নামতে পারে। এ কারণে গত অর্থ বছরের তুলনায় চলতি অর্থ বছরে চালের উৎপাদন কমতে পারে প্রায় চার লাখ টন। দেশের চাল উৎপাদন পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কার এ তথ্য দিয়েছে ইউএসডিএ।
সার্বিক বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘উৎপাদনের তথ্যবিভ্রাটের বিষয়টি নজরে এসেছে। আমরা চেষ্টা করছি সব পর্যায়ের তথ্যকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার। তবে দেশে যেন কোনোভাবেই খাদ্যসংকট তৈরি না হয় সে জন্য মন্ত্রণালয় দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করছে।
আগামী বোরো মৌসুমে উৎপাদন বাড়াতে নিরবচ্ছিন্নভাবে উপকরণ সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বীজ, সার ও সেচের পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে। সার আমদানি বাড়াতে আমরা সম্ভাব্য সব দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আশা করছি সার নিয়ে কোনো ধরনের সংকট হবে না।’
এদিকে দেশে গত অর্থবছরের চাল উৎপাদন নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) যে তথ্য জানিয়েছে, তার সঙ্গে মার্কিন কৃষি বিভাগের হিসাবের বড় গরমিল রয়েছে।